TRIX (পর্ব -১):
TRIX একটি প্রধান (leading) ইন্ডিকেটর যা শেয়ার মূল্যের সঙ্গে divergence-এর মাধ্যমে একটি ট্রেন্ডের টার্নিং পয়েন্ট খুঁজে পেতে সাহায্য করে। একইভাবে, একটি moving average-কে একটি স্বল্প সময়সীমার (৯ দিনের) সঙ্গে যুক্ত করা এবং এটি ‘সিগন্যাল লাইন’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যেখনে TRIX মুখ্য ভূমিকা পালন করে। TRIX এবং সিগন্যাল লাইনের মধ্যে সংঘটিত ক্রসওভার buy/sell-এর সংকেত প্রদান করে।
Calculation: TRIX কেলকুলেট করতে হলে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্বাচন করতে হবে। যার ফলে exponential moving average সৃষ্টি হয় এবং যা সমাপ্তিমূল্যের ওপর নির্ণীত। যেমন: ১৫ দিনের সময়সীমার ক্ষেত্রে,
১. সমাপ্তিমূল্যের ১৫ দিনের exponential moving average হিসাব করতে হবে।
২. প্রথম পদক্ষেপ : moving average-এর ১৫ দিনের exponential moving average হিসাব করতে হবে।
৩. দ্বিতীয় পদক্ষেপ: moving average-এর ১৫ দিনের exponential moving average হিসাব করতে হবে। এখন আপনি volatilityকে বাদ দিয়ে সমাপ্তিমূল্যের triple exponential moving average পেয়ে গেছেন।
৪. তৃতীয় পদক্ষেপ: moving average-এর ১ দিনের পরিবর্তনের হার (%) গণনা করতে হবে।
যদিও TRIXসমাপ্তিমূল্যের পরিবর্তনের হার পরিমাপ করে কিন্তু একটি পজিটিভ TRIX একটি শেয়ারের সমাপ্তিমূল্যের সুষম বৃদ্ধি বর্ণনা করে।
TRIX (পর্ব - ২):
প্রথম পর্বে আমরা TRIX সম্পর্কে জেনেছি এবং এখন আমরা এই TRIX-এর সিগন্যাল লাইন ব্যবহার করে কীভাবে ট্রেড করা যায়, তা দেখব। সাধারণত একটি পজিটিভ TRIX অনেকটাই একটি পজিটিভ price ট্রেন্ডের মতো যখন এটি ০ লাইনের ওপর দিয়ে অতিক্রম করে, তখন তা buy সিগন্যাল হিসেবে বিবেচিত। একইভাবে ০ লাইনের নিচ দিয়ে অতিক্রম করাকে sell সিগন্যাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। TRIX ইন্ডিকেটরের ‘সিগন্যাল লাইন’ হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ buy/sell ইন্ডিকেটর। সিগন্যাল লাইনের সময়সীমা স্বল্প এবং এর ওপর দিয়ে অতিক্রম করা মানে শেয়ারের সাম্প্রতিক সমাপ্তিমূল্য সর্বোচ্চ হবে। যখন TRIX ‘সিগন্যাল লাইন’-এর ওপর দিয়ে অতিক্রম করে, তখন তা buy সিগন্যাল এবং ‘সিগন্যাল লাইন’-এর নিচ দিয়ে অতিক্রম করলে, তা sell সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে। এই পদ্ধতি শেয়ারের sideway-এর ক্ষেত্রে ভুল সিগন্যাল দেখাতে পারে। সুতরাং, এটি মূল্যের পরিবর্তনের (Trending) ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। তাই সুনিশ্চিত তথ্যের জন্য অন্য ইন্ডিকেটরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে TRIX-কে ব্যবহার করাই উপযুক্ত।
উদাহরণ :
মাইক্রোসফটের দৃষ্টান্ত হতে দেখতে পাই, তিনটি বুলিশ ক্রসওভার, যা TRIX এবং ‘সিগন্যাল লাইন’-এর মধ্যে সংঘটিত হয়েছে এবং উভয়ে uptrend-কে অনুসরণ করছে। এই ক্রসওভারগুলো আদর্শ buy পয়েন্ট হিসেবে কাজ করছে এবং এরা দ্রুত একটি শেয়ারের বর্ধিত চাহিদার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। চিত্রে লক্ষ করুন ১৫ দিনের TRIX লাইন যখন ৯ দিনের সিগন্যাল লাইনকে নিচে থেকে অতিক্রম করছিল এবং সেই সঙ্গে ০ লাইনকেও অতিক্রম করে গেছে। ফলে শেয়ারটির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ঠিক একইভাবে আবার যখন ১৫ দিনের TRIX লাইন যখন ৯ দিনের সিগন্যাল লাইনকে ওপর থেকে নিচের দিকে অতিক্রম করছিল, তখন শেয়ারটির দাম কমে যাচ্ছিল। আপনি এই ইন্ডিকেটরটিকেও আপনার ইন্ডিকেটরের তালিকায় রাখতে পারেন। আপনি টেকনিক্যাল আনালাইসিসে এ ধরনের অনেক ইন্ডিকেটরই পাবেন, কিন্তু আপনি কোন ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করে ট্রেড করবেন, সে বিষয়টি কিন্তু আপনাকেই ঠিক করতে হবে।
উদাহরণ :
মাইক্রোসফটের দৃষ্টান্ত হতে দেখতে পাই, তিনটি বুলিশ ক্রসওভার, যা TRIX এবং ‘সিগন্যাল লাইন’-এর মধ্যে সংঘটিত হয়েছে এবং উভয়ে uptrend-কে অনুসরণ করছে। এই ক্রসওভারগুলো আদর্শ buy পয়েন্ট হিসেবে কাজ করছে এবং এরা দ্রুত একটি শেয়ারের বর্ধিত চাহিদার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। চিত্রে লক্ষ করুন ১৫ দিনের TRIX লাইন যখন ৯ দিনের সিগন্যাল লাইনকে নিচে থেকে অতিক্রম করছিল এবং সেই সঙ্গে ০ লাইনকেও অতিক্রম করে গেছে। ফলে শেয়ারটির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছিল। ঠিক একইভাবে আবার যখন ১৫ দিনের TRIX লাইন যখন ৯ দিনের সিগন্যাল লাইনকে ওপর থেকে নিচের দিকে অতিক্রম করছিল, তখন শেয়ারটির দাম কমে যাচ্ছিল। আপনি এই ইন্ডিকেটরটিকেও আপনার ইন্ডিকেটরের তালিকায় রাখতে পারেন। আপনি টেকনিক্যাল আনালাইসিসে এ ধরনের অনেক ইন্ডিকেটরই পাবেন, কিন্তু আপনি কোন ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করে ট্রেড করবেন, সে বিষয়টি কিন্তু আপনাকেই ঠিক করতে হবে।