Tuesday, January 24, 2017

Trailing Stop Loss - প্রথম পর্ব।

আপনি শেয়ার কেনার কিছুদিন পর লাভে চলে গেলেন তারপর শেয়ারটি যখন স্লো মুডে থাকল এর পর ভয় পেয়ে আপনি ছেড়ে দিলেন তারপর দেখলেন যে আপনার ছেড়ে দেয়া শেয়ারটি অনেক বেড়ে গেছে। তখন নিজের চুল নিজেই ছিড়তে ইচ্ছে করে। তখন মনে মনে বলতে খাকি কেন যে খামকা শেয়ারটা ছেড়ে দিলাম। এমন পরিস্থিতি যদি আপনার অনেক বার ঘটে থাকে তাহলে আপনার জন্য এই পোষ্টটি ঔষধের মত কাজ করবে। তা আর দেরি নয় শুরু করা যাক।

কোন শেয়ার যখন বাড়তে থাকে তখন খুব কম শেয়ারই আছে একটানা বেড়ে চলে বাড়তে বাড়তে মাঝে মাঝে স্লো হয়। কিছু কিছুশেয়ার আবার এমন স্লো হয় যে সে আবার ডাউন ট্রেন্ডে চলে যায়। ফলে একটু স্লো হলেই আমরা ভয়ে পড়ে যাই। এ সমস্যা সমাধান করতে আপনাকে Trailing Stop Loss সম্পর্কে জানতে হবে।

ট্রেলিং স্টপলস কি?


- ট্রেলিং স্টপ লস হলোঃ কোন শেয়ার কেনার পর লাভে চলে গেলে আবার দাম কমতে থাকেলে যে মূলের নিচে দাম চলে গেলে বিক্রি করে লাভ কে সুরক্ষিত করা যায় সে মূল্য কে ট্রেলিং স্টপ লস বলে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে এটি কিভাবে বের করব?
- এটি নির্ভর করবে বিনিয়গের ধরণের উপর। আমারা সাধারণত তিন ধরণের বিনিয়োগ করি ১) সর্ট টর্মের জন্য। ২) মিড টার্মেরত জন্য এবং ৩) লং টার্মের জন্য। আর এই ট্রেলিং স্টপলসটা ও তিন ধরণের শেয়ারের জন্য তিন ধরণের হবে।


১। সর্ট টার্মের শেযারে জন্যঃআপনার শেয়ারটা যদি সর্ট টার্মের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার শেয়ারটা তার কয়েক দিনের আগের পূর্ববর্তী ক্লোজ মূল্য অপেক্ষা ৩-৫% হ্রাস পেলে যে দাম হবে সেটি হবে উক্ত শেয়ারের ট্রেলিং স্টপ লস।

২। মিড টার্মের শেযারে জন্যঃআপনার শেয়ারটা যদি মিড টার্মের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার শেয়ারটা তার কয়েক দিনের আগের পূর্ববর্তী ক্লোজ মূল্য অপেক্ষা ৫-৭% হ্রাস পেলে যে দাম হবে সেটি হবে উক্ত শেয়ারের ট্রেলিং স্টপ লস।

৩। লং টার্মের শেযারে জন্যঃআপনার শেয়ারটা যদি লং টার্মের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার শেয়ারটা তার কয়েক দিনের আগের পূর্ববর্তী ক্লোজ মূল্য অপেক্ষা ৭-১০% হ্রাস পেলে যে দাম হবে সেটি হবে উক্ত শেয়ারের ট্রেলিং স্টপ লস। তবে লং টামের জন্য ক্ষেত্র বিশেষ এ মান ১৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

ভাই কি সব বললেন কিছুইতো বুজলাম না একটা উদাহরণ দিলে ভাল হত না?

উদাহরণ: ধরুন আপনি ৫০ টাকা দরে ‍"ক" নামক শেয়ারটি কিনলেন ১০০ বা ৫০০০ বা ১০০০০ তারও বেশিটি মিড টার্মের জন্য । এরপর তার দাম বাড়তে খাকল এটি এক সপ্তাহ পরে ৬০ টাকাতে গিয়ে ৪দিনে কমে ৫৮.৫ টাকাতে আসল আবার পঞ্চম দিন থেকে অল্প অল্প করে বাড়তে বাড়তে ৭০ টাকাতে পৌছালো ২০ তম দিনে তার পর কমতে কমতে এটি আবার ৬৩ টাকাতে নেমে এল তার পর আবার বাড়তে বাড়তে ২৫ তম দিনে ৬৭ টাকাতে পৌছালো আবার কমতে শুরু করল।

উক্ত উদাহরণে কখন ট্রেলিং স্টপ লস প্রয়োগ করব এবং সে দাম টি কত?



উত্তরঃ যেহেতু শেয়ারটি মিড টার্মের জন্য বিনিয়োগ তাই ধরে নিচ্ছি ট্রেলিং স্টপ লস ৫%। এখন দাম যখন ৬০/- তখন ট্রেলিং স্টপ লস মূল্য হবে ৬০- ৬০*৫%= ৬০ - ৩ = ৫৭/- কিন্তু দাম  সেই কাঙ্খিত দাম ৫৭/- এর নিচে আসেনি তাই এ ক্ষেত্রে ট্রেলিং স্টপলস প্রয়োগ করতে হবে না।পরবর্তীতে দাম যখন ৭০/- তখন স্টপ লস দাম হবে ৭০ – ৭০*৫% = ৭০- ৩.৫ = ৬৬.৫/- অর্থাৎ ৭০/-টাকা দাম উঠার পর যখন দাম ৬৬.৫/- এর নিচে নামবে তখন স্টপলস প্রয়োগ করতে হবে অর্থাৎ দাম ৬৬.৫ এর নিচে নামলেই বিক্রি করে দিতে হবে দাম ৬৩/- নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ঠিক হবে না। নইলে লাভ ঘরে তোলা সম্ভব হবে না। কখনও কখনও আবার লসে চলে যেহে হতে পারে।

আজ ব্যাখ্যা দিলাম গাণিতিক ভাবে যা একটু কঠিন মনে হতে পারে। আগামী দ্বিতীয় পর্বে দেখাবো কিভাবে গ্রাফিকালী ( চার্টের মাধ্যমে) সয়ংক্রিয় ভাবে হিসাব ছাড়াই সহজে ট্রেলিং স্টপলস প্রয়োগ করা যায়।

No comments:

Post a Comment