আজ আলোচনানের করব ইডেক্স গ্রাফ নিয়ে। প্রতিদিনের লেনদেনের গ্রাফ মিলে তৈরী হয় একটি ক্যান্ডেল। তাই টেকনিক্যাল এনালাইসিসে ভাল করতে হলে প্রতিদিনের ইন্ডেক্স গ্রাফ খুটিয়ে খুটিয়ে দেখা জরুরী। নিচে আজকের ইন্ডেক্স গ্রাফকে বিশ্লেষণ করছিঃ
আলোচনার সুবিধার্থে আজকের ইন্ডেক্স গ্রাফকে ২ ভাগে ভাগ করে আলোচনা করছি। প্রথম অংশের গ্রাফ নিচে দিলাম
আজ যদি ট্রেডটা একটা (১.০০ P.M.) পর্যন্ত হতো তাহলে এ ধরণের একটি গ্রাফ দেখতে পেতাম। এবং এ গ্রাফ থেকে যে ক্যান্ডেলষ্টিক তৈরী হতো সেটি হতো হামার। পরপর কিয়েকক দিন ডাউন ক্যান্ডেলের পর এ ধরণের ক্যান্ডেল সৃষ্টি হলে পরবর্তীদিন বাজার কানা ঘোড়রি ন্যায় ছুটতো। আমরাও হাফ ছেড়ে বাচতাম। কিন্তু বিধি বাম এর পরই ইন্ডেক্স কমতে শুরু করল এবং বেলা ১.৪০ পর্যন্ত যে গ্রাফটা তৈরী করল তার খন্ড বিশেষ নিম্ন রুপঃ
উপরের চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে যে, চিত্রটি একটি হেড এন্ড সোল্ডার প্যাট্যার্ণ যা বিয়ারিশ প্যাটার্ণ হিসাবে পরিচিত এর ডান পার্শের নেক লাইন (তির চিহ্নিত) ভেঙ্গে যাওয়াতে তার ফলা ফল পূর্ণাঙ্গ গ্রাফে প্রতি ফলিত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ গ্রাফ নিচে দিলাম
পূর্ণাঙ্গ গ্রাফটি বিশ্লেষণঃ পুর্ণাঙ্গ গ্রাফটি যেটি তৈরী করল সেটি এটি বড় বিয়ারিস ক্যান্ডেল। উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে প্রতিয়মান হচ্ছে যে ইন্ডেক্স বার বার ঘোরার চেষ্টা করলেও তা বিক্রয় চাপে দাড়তে পারছেনা। এছাড়া উপরের গ্রাফে দেখা যাচ্ছে লেনদেন প্রথম ও শেষ দিকে খুবই বেশি। এ থেকে বোঝা যায় বাজারে প্রচুর পরিমাণ নেটিং চলছে। যদিও নেটিং ভাল বাজারের জন্য ফল বয়ে আনে না।
বাজর প্রায় ৩১৮ পয়েন্ট পড়েছে এবং লেনদেনও তুলনামূলক ভাবে কম। সেহেতু ২/১ দিনের মধ্যে একটা সর্টবাউন্স আশা করা যায়। ইনডেক্স এর একটি ষ্ট্রং সাপোর্ট ৫২৮০তে লক্ষ করা যাচ্ছে। দেখা যাক সেটি কতটা সাপোর্ট দিতে পারে।
বর্তমানে করনীয়ঃ ১। পেনিক হয়ে লাভ নাই। যে শেয়ারগুলো আপনার ক্রয় মূল্য থেকে ১০% এর বেশি পড়েছে সেগুলো পেনিক হয়ে সেল দিলে আম ছালা দুটাই যাবে। বরং যেটি স্টপলস প্রয়োহের মধ্যে আছে সেটিতে স্টপলস করে ক্যাশটি আপনাকে বেশি কাদানো শেয়ারটিতে ধীরে ধীরে নিবিয়োগ করে অর্থাৎ এভারেজ করে ক্রয় মূল্য কমিয়ে আনা ভাল। কারণ দেখা গেছে এ ধরণের বড় রকমের ফল করলে সে সকল শেয়ার বেশি পরিমাণ কমে ইনডেক্স ঘুরলে তারাই বেশি বেশি বাড়ে।
২। যদি নেটিং এ পারদর্শী হন তবে ডে-নেটিং করতে হবে।