সাপোর্ট বলতে সেই মূল্যস্তরকে নির্দেশ করে, যেখানে ক্রেতা একটি সুদৃঢ় অবস্থানে থেকে মূল্যের পতন রোধ করে। রেজিস্টেন্স হচ্ছে সেই মূল্যস্তর, যেখানে বিক্রেতা সুদৃঢ় অবস্থানে থেকে মূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে ধরে রাখে। অতীত মূল্যের ওপর ভিত্তি করে সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেভেল তৈরি হয়। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেভেল হচ্ছে সেই মূল্যস্তর যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ কিছু ক্রেতা/বিক্রেতা বাজারে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে আরও কিছু ক্রেতা/বিক্রেতা প্রবেশ করে মূল্যকে তার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনে। যখন মূল্য রেজিস্টেন্স লেভেলকে অতিক্রম করে, তখন তা সাপোর্ট হিসেবে পরিগণিত হয়। আবার যখন মূল্য পতিত হয়ে নিচে একটি নতুন অবস্থান নেয়, তখন তা সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে। যখন সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্স পরিবর্তিত হয়ে একটি নতুন রেজিস্টেন্স লেভেল তৈরি করে- তখন দাম দ্রুতগতিতে ওপরের দিকে উঠে আসে, যা ব্রেকাউট বা মূল্যবৃদ্ধি নির্দেশ করে। যখন একটি লেভেল পরিবর্তিত হয়, কিন্তু যা পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্রেতা বা বিক্রেতা আকৃষ্ট করতে পারে না, তখন তা অতীতের সাপোর্ট বা রেজিস্টেন্সে লেভেল অতিক্রম করে আরও নিচে নেমে আসে।
এই পতনকে কৃত্রিম ব্রেকাউট বলা হয়। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স লেভেল তার বিভিন্নতা এবং সহনীয়তা নিয়ে অবস্থান করে। এরা আনূভূমিকভাবে মূল্যের মাত্রা/স্থল নির্দেশ করে। বিভিন্ন আঙ্গিকের ট্রেন্ডলাইনগুলো সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স হিসেবে কাজ করে। যে সময় নিয়ে সাপোর্ট/রেজিস্টেন্স একটি লেভেলে অবস্থান করে, তা সেই স্থলের সহনীয়তা বা দুর্বলতা। এই অবস্থানগুলো সে স্থল থেকে বেরিয়ে আসতে কী পরিমাণ ক্রয় বা বিক্রয়ের প্রয়োজন, তা নির্দেশ করে। যতই একটি অবস্থানে ভলিউম বাড়তে থাকবে, ততই সে অবস্থানটি সুদৃঢ় হবে। সাপোর্ট ও রেজিস্টেন্স সবসময়ে এবং সব বাজারেই অবস্থিত। একটি স্তরে দীর্ঘ সময়ে অবস্থান সে স্তরের সুদৃঢ় এং স্বল্প সময়ের অবস্থান সে স্থলের দুর্বলতাকে নির্দেশ করে।
No comments:
Post a Comment