অনেক টেকনিক্যাল অ্যানালিস্টকে আমরা ভলিউম নিয়ে কথা বলতে শুনি। আসলে ভলিউম বলতে আমরা কি বুঝি? সাধারণত ভলিউম হচ্ছে, একটি দিনের লেনদেনকৃত শেয়ারের সংখ্যা। বেশি পরিমাণের ভলিউম একটি শেয়ারের সক্রিয়তা প্রকাশ করে থাকে। ভলিউমের মুভমেন্ট বোঝার জন্য (আপ অথবা ডাউন) অ্যানালিস্টরা সাধারণত ভলিউম বার দেখে থাকেন। এই ভলিউম বারগুলো একটি চার্টের নিচের দিকে অবস্থান করে। ইচ্ছে করলে আপনি অসর Ami Broker-এ ভলিউম বারগুলো Customized করেও নিতে পারেন। এই ভলিউম বারগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ে কতগুলো শেয়ার লেনদেন হয়েছিল এবং ট্রেন্ডটি কেমন ছিল সেটি প্রকাশ করে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ভলিউম বিষয়টি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন এবং এই ভলিউম অ্যানালাইসিস করে আপনার কী লাভ হবে। হ্যাঁ ভলিউম টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ এই ভলিউমই একটি ট্রেন্ড এবং চার্ট প্যাটার্নগুলোকে নিশ্চিত করে থাকে। দাম যদি ঊর্ধ্বমুখী অথবা নিম্নমুখী হয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে বেশি পরিমাণ ভলিউমও দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যদি দেখেন, একটি শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়ছে, কিন্তু সেই সাথে ভলিউম সেই পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে না, তখন আপনি ধরে নিতে পারেন এই দাম বৃদ্ধিটি একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি দিন টিকবে না। ধরুন, আপনি দেখলেন, একটি শেয়ার অনেক দিন ডাউন ট্রেন্ডে থাকার পর হুট করে একদিন ৫% দাম বৃদ্ধি পেল। আপনি কি এই বৃদ্ধিকে একটি রেভারসাল ট্রেন্ড ধরবেন? এ ক্ষেত্রে ভলিউম অ্যানালাইসিস আপনাকে সাহায্য করবে। যদি ভলিউম আগের দিনগুলোর থেকে বেশি হয়, তবে আপনি এটিকে রেভারসাল ট্রেন্ড হিসেবে ধরতে পারেন। কিন্তু যদি ভলিউম আগের দিনগুলোর থেকে বেশি না হয়, তবে আপনার বুঝতে হবে, এটি কোনো রেভারসাল ট্রেন্ড নয়। সুতরাং ভলিউমের সম্পর্ক সব সময় ট্রেন্ডের সঙ্গে। যখন দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে, তখন ভলিউমও বৃদ্ধি পাবে। যখন দাম নিম্নমুখী থাকবে, তখন ভলিউমও কম থাকবে। কিন্তু যদি এই ভলিউম এবং ট্রেন্ডের মধ্যে সাদৃশ্য না থাকে, তবে এটি একটি দুর্বল ট্রেন্ড বলে বিবেচিত হয়।
No comments:
Post a Comment