আজ আমরা জোগান (supply) নিয়ে আলোচনা করব এবং Supply Testing-এর ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখব। সাধারণত বড় বিনিয়োগকারী অথবা মার্কেট মেকাররা বাজারে একটি শেয়ারের দাম কমাতে পারে, কিন্তু তারা কখনো দাম বাড়াতে পারে না, যতক্ষণ অন্য বিক্রয়কারীরা একই সময় বিক্রয় করতে থাকেন। প্রফেশনাল ট্রেডাররা সাধারণত supply pressure শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং তাদের নিশ্চিত হতে হয় supply pressure পুরোপরি শেষ হয়ে গেছে। এর পরই তারা তাদের হাতে থাকা শেয়ার ট্রেড করেন। ভলিউমের পরিমাণ দেখে তারা বুঝতে পারেন, কী পরিমাণ শেয়ার বিক্রি হয়েছে। লো ভলিউম ট্রেড অর্থ হচ্ছে, little selling on the mark-down। হাই ভলিউম ট্রেডের অর্থ হচ্ছে, fact selling on the mark-down।
এই পদ্ধতিকে আবার ‘Testing’-ও বলা যায়। আপনি কখনো হাই ভলিউম অথবা লো ভলিউমে এই ‘Test’টি করতে পারেন। সাধারণত একটি সফল লো ভলিউম টেস্ট আপনাকে সংকেত দেয় মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এবং একইভাবে হাই ভলিউম টেস্ট আপনাকে সংকেত দেয় মার্কেট কিছু দিনের জন্য ঊর্ধ্বমুখী হবে, কিন্তু সেই ট্রেন্ডটি বেশি দিন থাকে না।
এবার একটি বাস্তব উদাহরণ দেখি। চিত্রে লক্ষ করুন, মে মাসের শেষের দিকে বিক্রয়চাপ বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং প্রথম কয়েক দিন পর ভলিউম কমে গিয়েছিল। তার অর্থ হচ্ছে, বাজারে জোগান (Supply) কমে গিয়েছিল এবং বিক্রেতারা আর কম দামে শেয়ার বিক্রি করতে রাজি ছিলেন না। ফলে কয়েক দিন পরই দেখুন, দাম আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল। ঠিক একই চিত্র ছিল আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসেও। প্রায় দুই মাস যাবৎ দাম কমছিল এবং সেই সঙ্গে ভলিউমও কমছিল। একটা পর্যায় এসে দেখা গেল, বিক্রয়চাপ শেষ হয়ে গেছে। কারণ, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ভীত হয়ে তাদের অধিকাংশ শেয়ারই বিক্রয় করে দিয়েছেন। এ কারণে বাজারে বিক্রয়কারীর সংখ্যা কমে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে supply-ও কমে যায়। সুতরাং দেখা যায়, এই supply testing খুবই একটি কার্যকর পদ্ধতি।
No comments:
Post a Comment