Thursday, February 9, 2012

Aroon

Aroon ইন্ডিকেটরটি হচ্ছে কোনো শেয়ারের ট্রেন্ড নির্ণয় করার একটি পদ্ধতি। এই ইন্ডিকেটরটি বুঝায় একটি শেয়ার কী ট্রেন্ডে রয়েছে অথবা নতুন করে ট্রেন্ড তৈরি হতে যাচ্ছে কি না এবং ট্রেন্ডটি কতটা মজবুত হতে পারে। এই ইন্ডিকেটরটি  এক সঙ্গে দুইটি সংকেত দিয়ে থাকে। একটি হচ্ছে Aroon-Up এবং Aroon-Down একটি ২৫ দিনের Aroon-Up শেষ ২৫ দিনের সর্বোচ্চ দাম পরিমাপ করে থাকে এবং Aroon-Down এর ক্ষেত্রে শেষ ২৫ দিনের সর্বনিম্ন দাম পরিমাপ করা হয়। এই ইন্ডিকেটরটি গতানুগতিক momentum oscillators ইন্ডিকেটর থেকে কিছুটা আলাদা। আলাদা হবার প্রধান কারণটি হচ্ছে এই ইন্ডিকেটরটি দামের থেকে সময়ের ওপর বেশি জোর দিয়ে থাকে। সাধারণত এই ইন্ডিকেটরটি সেন্ট্রাল লাইনের (৫০) ওপরে এবং নিচে ওঠানামা করে থাকে। এর  সর্বোচ্চ সীমা হচ্ছে ১০০ এবং সর্বনিম্ন সীমা হচ্ছে ০। একটি ফ্লো যদি ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ১০০ এর দিকে যেতে থাকে, তবে বুঝতে হবে একটি নতুন ট্রেন্ড তৈরি হবে  অথবা হতে যাচ্ছে। এবং অন্য ইন্ডিকেটরটি এই ট্রেন্ডটিকে নিশ্চিত করবে নিম্নমুখী হয়ে।
সাধারণত তিনটি ধাপে একটি ট্রেন্ড সংগঠিত হয়ে থাকে। প্রথমে লাইনটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় থাকবে, তারপর লাইনটি ৫০ পয়েন্টের লাইন ক্রস করবে এবং শেষ ধাপে ১০০ লাইনের দিকে পৌঁছে যাবে। তবে মনে রাখতে হবে Aroon ইন্ডিকেটরটি সময় নিয়ে কাজ করে দাম নিয়ে নয়।  চিত্রে দেখযাচ্ছে Aroon প্রথম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত দিয়েছিল, যখন Aroon-Up ইন্ডিকেটরটি Aroon-Down কে ক্রস করে। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল এবং ৫০ পয়েন্ট লাইন ক্রস করে ১০০ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছে ছিল। ঠিক তখনো Aroon-Down নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, তখন শেয়ারটির দাম বেড়েছিল এবং যখন Aroon-Down ইন্ডিকেটরটি Aroon-Up কে ক্রস করে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল, তখন শেয়ারটির দাম কমে ছিল। অর্থা আপনাকে দুইটি ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করতে হবে একটি ট্রেন্ড বুঝার জন্য

No comments:

Post a Comment