Divergence Trading (পর্ব-১)
আজকের টিউটোরিয়াল কর্নারে আমরা Divergence Trading সম্পর্কে জানব। এই বিষয়টি একটু দীর্ঘ বিধায় আমরা ধারাবাহিকভাবে আগামী কয়েক দিনের টিউটোরিয়াল কর্নারে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এবার আসা যাক, Divergence Trading কী এবং এটি কীভাবে শেয়ারবাজারে কাজ করে সেই বিষয়ে। ধরুন, কী হবে, যখন কোনো বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ খুব কম ঝুঁকিতে থাকবে? খুব উচ্চ দামে শেয়ার বিক্রয় করতে পারবে এবং ক্রয়ের সময়ও খুব স্বল্প দামে ক্রয় করতে পারবে? উত্তর একটাই, আর তাহলো কম ঝুঁকি নিয়ে বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবে। আর এই Divergence Trading-এর মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী খুব কম ঝুঁকি নিয়ে বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারেন। Divergence Tradingটি হলো, একটি শেয়ার যখন বোটম লেভেলে থাকে, তখন ক্রয় করা এবং যখন টপ লেভেলে থাকে, ঠিক তখন বিক্রয় করা। আপনি এই Divergence Trading করার জন্য MACD, stochastic ইন্ডিকেটরগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই ট্রেডিং পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে আপনাকে আরও কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। বিষয়গুলো হচ্ছে Higher Highs and Lower Lows। সাধারণত Higher Highs হচ্ছে উচ্চ পয়েন্ট এর উচ্চ সীমা এবং Lower Lows হচ্ছে নিম্ন পয়েন্টের নিম্ন সীমা। চিত্রে ভালোভবে লক্ষ করলে আপনিও বিষয়টা বুঝতে পারবেন।
আপনি এখন জেনে গেছেন Divergence Trading সম্পর্কে। এখন আপনি পুরোপুরি প্রস্তুত Divergence Trading করার জন্য। দুই ধরনের Divergence রয়েছে। একটি হচ্ছে Regular এবং আরেকটি হচ্ছে Hidden। Regular bullish divergence ব্যবহার করা হয় সম্ভাব্য ট্রেন্ড রিভার্সাল বুঝার জন্য। যদি কোনো শেয়ারের দাম lower lows অবস্থানে থাকে, কিন্তু oscillatorটি higher lows অবস্থানে থাকে, তবে সেটি হবে regular divergence। এই regular divergence সাধারণত সংগঠিত হয় একটি ডাউন ট্রেন্ডের পর।
একটি Hidden bullish divergence সংগঠিত হয়, যখন একটি শেয়ারের দাম higher low অবস্থানে থেকে এবং oscillatorটি lower low অবস্থনে থাকে।
আপনি এখন জেনে গেছেন Divergence Trading সম্পর্কে। এখন আপনি পুরোপুরি প্রস্তুত Divergence Trading করার জন্য। দুই ধরনের Divergence রয়েছে। একটি হচ্ছে Regular এবং আরেকটি হচ্ছে Hidden। Regular bullish divergence ব্যবহার করা হয় সম্ভাব্য ট্রেন্ড রিভার্সাল বুঝার জন্য। যদি কোনো শেয়ারের দাম lower lows অবস্থানে থাকে, কিন্তু oscillatorটি higher lows অবস্থানে থাকে, তবে সেটি হবে regular divergence। এই regular divergence সাধারণত সংগঠিত হয় একটি ডাউন ট্রেন্ডের পর।
একটি Hidden bullish divergence সংগঠিত হয়, যখন একটি শেয়ারের দাম higher low অবস্থানে থেকে এবং oscillatorটি lower low অবস্থনে থাকে।
Divergence Trading (পর্ব-২)
এ পর্বে আমরা Divergence Trading-এর ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখব। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে আপনি Divergence Trading ব্যবহার করে ট্রেড করবেন। প্রথমে আমরা দেখব, কীভাবে lower lows এবং higher lows ব্যবহার করে আপনি ট্রেড করতে পারেন। চিত্রে লক্ষ করুন, একটি শেয়ারের মুভেমেন্ট দেখা যাচ্ছে।
প্রথমবার শেয়ারটি দামের একটি Downtrend সংগঠিত হয়েছিল এবং সে অবস্থা থেকে কিছুটা Pull Back করে ওপরে উঠেছিল। কিন্তু আবার কয়েক দিন পরে দাম পড়ে যায় এবং সে সময় Lower Lows সংগঠিত হয়। যদি আপনি এর আগের ডাটাগুলো দেখেন, তবে দেখতে পাবেন, এই লেভেলটিই সব চেয়ে নিম্নতম লেভেল এবং দাম এই লেভেলের নিচে আর যায়নি। অন্য দিকে, Stochastic-টি higher lows অবস্থায় রয়েছে। এই Stochastic ইনডিকেটরের পরিবর্তে আপনি MACD-ও ব্যবহার করতে পারেন। এখন চিত্রের ওই লেভেলটিকে আমরা বোটম বলে ধরে নিতে পারি। এই বোটম লেভেল থেকে কেউ যদি শেয়ার ক্রয় করেন, তবে তার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায় এবং টপ লেভেলে বিক্রয় করেন, তবে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারেন । এ সময়ে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে Lower Lows সংগঠিত হয়েছে কি না। দ্বিতীয়ত, ঠিকমতো ট্রেন্ড লাইন আঁকা হয়েছে কি না। অনেক সময় আপনি সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে না পারলে হয়তো সে সময়ের ট্রেন্ডটি আপনি ঠিকমতো ধরতে পারবেন না। তাই আপনাকে ট্রেন্ড লাইনটি সঠিকভাবে আঁকতে হবে। এরপর আপনাকে slope-গুলো বুঝতে হবে। কোন slove পজেটিভ এবং কোনটি নেগেটিভ। সবকিছু যদি পজিটিভ থাকে, ঠিক তখনই কেবল আপনি ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যদি সবকিছু পজেটিভ না থাকে, তবে আপনি শেয়ারটি আপনার অবজারভেশন তালিকায় রাখতে পারেন এবং যখন একটু পজিটিভ মুভমেন্টে আসবে, তখন আপনি ট্রেড করতে পারেন।
Divergence Trading (পর্ব-৩)
গত দুই পর্বের ধারাবাহিকতায় আজ ও আমরা Divergence Trading নিয়ে আলোচনা করব এবং ব্যবহারিক প্রয়োগ দেখব। আমরা গতকালের টিউটোরিয়াল কর্নারে দেখেছিলাম দুই ধরনের Divergence রয়েছে। একটি হচ্ছে regular এবং আরেকটি হচ্ছে Hidden।
পাশের চিত্রটি একটু খেয়াল করুন। প্রথমে চিত্রটি দেখলে আপনিও বুঝতে পারবেন, একটি Downtrend দেখা যাচ্ছে। লক্ষ করুন, কীভাবে শেয়ারটির দাম lower high অবস্থায় ছিল এবং সেই সঙ্গে stochastic-টি ও higher highs অবস্থায় ছিল। Divergence-এর দিক থেকে এটি একটি hidden bearish divergence। আপনি যদি এ রকম অবস্থায় থাকেন, তখন কী করবেন? তখন যদি আপনি ওই শেয়ারটিতে শক্ত অবস্থান নেন, তাহলে আপনার কিছুটা আর্থিক ক্ষতি মেনে নিতে হবে। আর তা যদি না চান, তাহলে হয়তো সামান্য কিছু ক্ষতি মেনে নিয়ে শেয়ারটি বিক্রি করে বড় ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। তাই একটি ট্রেডের আগেই আপনার উচিত কিছুটা স্টাডি করে নেওয়া। স্টাডির সময় আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে Higher high than the previous high সংঘটিত হয়েছে কি না। দ্বিতীয়ত, ঠিকমতো ট্রেন্ড লাইন আঁকা হয়েছে কি না। অনেক সময় আপনি সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে না পারলে হয়তো সেই সময়ের ট্রেন্ডটি আপনি ঠিকমতো ধরতে পারবেন না। তাই আপনাকে ট্রেন্ড লাইনটি সঠিকভাবে আঁকতে হবে। এরপর আপনাকে slope-গুলো বুঝতে হবে। কোন slove পজেটিভ এবং কোনটি নেগেটিভ। সবকিছু যদি পজিটিভ থাকে, ঠিক তখনই কেবল আপনি ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যদি সবকিছু পজেটিভ না থাকে, তবে আপনি শেয়ারটি আপনার অবজারভেশন তালিকায় রাখতে পারেন এবং যখন একটু পজিটিভ মুভমেন্টে আসবে, তখন আপনি ট্রেড করতে পারেন।
Divergence Trading (পর্ব-৪)
Momentum Tricks : যদি আপনি Divergence Trading টুলসটি আপনার টুলস বক্সে রাখেন এবং নিয়মিত ব্যবহার করতে থাকেন, তবে দেখা যাবে মাঝেমধ্যে আপনি অনেক সময় সম্পূর্ণ সিগন্যালের অপেক্ষা না করেই ট্রেডে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছেন। এ রকম অবস্থা আপনি কীভাবে এড়িয়ে যেতে পারেন? হ্যাঁ, এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কিছু Momentum Tricks রয়েছে। এই Tricks-গুলো আপনাকে আরও নিখুতভাবে সিগন্যাল দিবে। আজ আমরা ওই Tricks-গুলোই দেখব। সর্ব প্রথম যে পদ্ধতি অথবা Trick রয়েছে, সেটা হচ্ছে Wait for a Crossover। আপনাকে Momentum indicator- ক্রসওভারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এই ক্রসওভারটি ক্রয় থেকে বিক্রয় অথবা বিক্রয় থেকে ক্রয়ের সংকেত দিতে পারে। মূল বিষয়টি হচ্ছে, আপনি বোটম অথবা টপের জন্য অপেক্ষা করছেন, কিন্তু কোনোটাই সংগঠিত হবে না, যতক্ষণ Momentum ক্রসওভার ঘটবে না। চার্টের প্রথম দিকে দেখা যাচ্ছে, শেয়ারটি lower highs অবস্থানে রয়েছে এবং higher highs ততক্ষণে divergence তৈরি করেছে। ফলে বুঝা যাচ্ছে, শেয়ারটি একটি বেয়ারিশ stochastic তৈরি করবে এবং পরবর্র্তীতে তাই ঘটেছে। লক্ষ করুন, কয়েকটি ক্যান্ডেলস্টিক পরে stochastic এ ক্রসওভার সংগঠিত হয়েছিল। এই শেয়ারটির মুভমেন্ট থেকে আমরা কী শিখতে পারি ? হ্যাঁ, এখানে শিক্ষণীয় বিয়য়টি হচ্ছে, কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করার পূর্বে অপেক্ষা করুন। কারণ, আপনি জানেন না, আদৌ stochastic-টি শিফট করবে কি-না। দ্বিতীয় trick-টি হচ্ছে overbought/oversold পদ্ধতি। এতে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে momentum highs and lows যতক্ষণ overbought and oversold-কে স্পর্শ না করবে। আপনি কিন্তু নিশ্চিত নন, কখন overbought and oversold-কে স্পর্শ করবে। আপনি ভাবতে পারেন, এটা আপনার ক্রয়ের উপযুক্ত সময়, যখন ইন্ডিকেটরটি oversold অবস্থায় থাকবে এবং নতুন একটি তৈরি low করবে। সত্যি, এটি একটি উপযুক্ত সময় হবে, যদি আপনি তখন শেয়ারটি ক্রয় করেন।
No comments:
Post a Comment